এ সম্পর্কে অভিভাবকরা বলছেন, তাদের সন্তানদের ডিজিটাল নিবন্ধনের জন্য পিতামাতার ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। ফলে অনলাইনে আবেদন করতে জটিলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করা গেলে এই সমস্যার কোনো সম্মুখীন হতে হতো না।
রাজধানীতে রফিকুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক গণমাধ্যমকে জানান, আমি স্বপরিবারে ঢাকায় থাকলেও আমার গ্রামের বাড়ি যশোর। আর আমার স্ত্রীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ। এখন আমার মেয়ের ডিজিটাল নিবন্ধন করতে হলে আমাকে যেতে হবে প্রথমে যশোর। এরপর আমার স্ত্রীকে যেতে হবে কিশোরগঞ্জ। তারপর মেয়ের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন করা সম্ভব হবে। এটা আমার মত সকল অভিভাবকের জন্য বিড়ম্বনার আর সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
এ সম্পর্কে মিনার আবেদিন নামে আরেক অভিভাবক বলেন, করোনার কারণে গত বছর আমার মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারিনি। এ বছর নতুন নিয়মের কারণে ভর্তির আবেদনই করতে পারছিনা। আর এই বছর ভর্তি করাতে পারবো কিনা তা বুঝতে পারছিনা।
এ বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে, প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে। দুই শিফটের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে ধরা হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না
সারাদেশের সকল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে কার্যক্রমে যুক্ত হলেও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা সহ দেশের এক হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় লটারিতে অংশ নেয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো: বেলাল হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, অনলাইনে আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীর ডিজিটাল সনদ লাগবে। সেটা যদি না থাকে বা এজন্য কেউ আবেদন না করতে পারে তাহলে এই মুহূর্তে আমাদের কিছু করার নেই। এছাড়া সফটওয়্যারগুলোও আমরা মেইনটেইন করিনা। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের যে শর্ত দেয়া হয়েছে এটা তো তাকে মানতেই হবে। তবে যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ভর্তি লটারির বাইরে আছে আশাকরি এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবে
গত সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা মাধ্যমিকে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এসে বলেন যে, তার সন্তারর জন্য ক্যাচমেন্ট এরিয়ার মধ্যে পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের সুযোগ তিনি তার ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় তিনটি ও এরিয়ার বাইরে দুইটিতে আবেদন ফেলেছেন। ফলে তার আবেদনটি বাতিল হবে কিনা জানতে এসেছেন।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা মাধ্যমিক এর কর্মকর্তারা বলেন, এইভাবে আবেদন করলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা মাধ্যমিক অধিদপ্তরের কিছুই করার থাকেনা।তার সন্তানের আবেদনটি বাতিল হবে না কিন্তু তিনটি বিদ্যালয়ের লটারির তার সন্তানের নাম থাকবে।
অনলাইনে ভর্তির সার্বিক কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ কম্পিউটার ও বাংলাদেশ টেলিটক।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লটারি পরিচালনা করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনিটরিং এর দায়িত্বে থাকবে।
খবরটি ভালো লাগলে শেয়ার করুণ
0 Comments
Do not share any link