শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি |
অনলাইন ডেস্কঃ
শিক্ষার্থীদের উপর চাপ কমাতে ও তদবির বন্ধে দেশের সরকারি - বেসরকারি সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের এখন থেকে প্রতিবছর ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) মিলনায়তনে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
গত বছর রাজধানী ঢাকায় মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী প্রথমবারের মত লটারির মাধ্যমে ভর্তি করা হয়েছিল।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,"এটা যেহেতু চালু হয়েছে, প্রতিবছরই এটা থাকবে। গত বছর করা হয়েছিল মহানগরে। এবার জেলা পর্যায়ে লটারি করা হয়েছে। উপজেলাগুলো লটারির আওতায় আনিনি। আগামীতে সব প্রতিষ্ঠান লটারির আওতায় আসবে।"
তিনি আরো বলেন, "স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা শিশুদের উপর প্রচন্ড মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। এর মধ্যে একটি অনৈতিক বিষয়ও জড়িয়ে যায়। অনেক রকম তদবিরের চাপ থাকে।"
তিনি বলেন, "এর থেকে উত্তরণের পথ আগে থেকে খুঁজছিলাম। এই নেতিবাচক চর্চা দূর করার জন্য আগে থেকেই ভাবছিলাম। কী করে এ থেকে উত্তরণ করব। ঠিক সেই সময়ে করোনা এসে গেল। করোনা না আসলেও আমরা লটারির কথা ভেবেছিলাম।"
আরও পড়ুন-
আগামী বছর তিনটি নয়, সব বিষয়ে হবে পরীক্ষা
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, "বিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধ হয়ই, আমাদের ওপরও যুদ্ধ চলে আসে। সবকিছু পড়ে বেশি নম্বর পেয়ে স্কুলে ভর্তি হতে হয়। তাহলে স্কুলের কৃতিত্বটা কী? কম নম্বর পাওয়া একজন শিক্ষার্থীকে পড়িয়ে বেশি নম্বর পেলে এটাই শিক্ষকের কৃতিত্ব। বেশি নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে বেশি নম্বর পেলে তাতে শিক্ষকের আত্মতৃপ্তির জায়গা থাকে না।"
তিনি আরো বলেন, "ভর্তির ক্ষেত্রে আগে আমরা যা দেখতাম, সেটা ভর্তিযুদ্ধ। এই রকম যুদ্ধ থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই। সেসব নেতিবাচক চর্চাগুলো রয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে ইতিবাচক চর্চার চেষ্টা করছি।"
ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ভর্তির ফলে কোচিং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে তিনি দাবি করেন। শ্রেণিকক্ষের আকৃতির পরিবর্তন, মিড ডে মিল ও মেয়েদের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ানোর পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
- শিক্ষার খবর
0 Comments
Do not share any link