সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চলতি শিক্ষাবর্ষের ৮৫ দিন ছুটি রেখে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে। কিন্তু একাডেমিক ক্যালেন্ডারে জাতীয় ও বিশেষ দিবসগুলো ছুটি হিসেবে দেখানো হলেও শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজনে এসব দিনগুলোতে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হয়।
কিন্তু প্রাথমিকের শিক্ষকরা বিদ্যালয় খোলা রেখে বিশেষ দিবসগুলো শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে উদযাপন করতে চান। তাই, জাতীয় ও বিশেষ দিবসগুলোকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদ। এ দাবিতে পরিষদের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের এক প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি জমা দেন।
পরিষদের সভাপতি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনসহ গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরও স্মারকলিপির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
স্মারকলিপিতে নেতারা বলছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় ও বিশেষ দিবসে ছুটির তালিকায় ছুটি দেখানো হয়। আবার পাশাপাশি যথাযথ মর্যাদায় দিবসগুলো পালনে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় আসতে বারণ করে শিক্ষকদের বিদ্যালয় উপস্থিত হয়ে যথাযথ মর্যাদায় দিবসগুলো পালন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে প্রতারণার শামিল।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ এ দিবসগুলো বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে, বিদ্যালয় খোলা রেখে আনন্দঘন পরিবেশে সকল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আবেদন জানাচ্ছে।
স্মারকলিপিতে নেতারা আরও বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সরকারি কর্মচারীর মর্যাদা পেয়েও তারা অন্যান্য সরকারি কর্মচারীর মত সরকারি বিধি মোতাবেক শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পাচ্ছেনা তিন বছর পরে ভাতা প্রাপ্তির জন্য ছুটির সাথে যোগ করে ১৫ দিন করা হলে প্রাথমিক শিক্ষকদের সরকারি কর্মচারীদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে।
স্মারকলিপিতে নেতারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজীবন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন। অথচ শিশুশিক্ষা বৈষম্যের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। বৈষম্যের গ্রাস থেকে শিশুদের রেহায় দিতে সব শিশুর জন্য অভিন্ন বই, সময়সূচি, মূল্যায়ন চালু করার প্রত্যাশা করছি।
-শিক্ষার খবর ডট কম
0 Comments
Do not share any link